বাংলাদেশ আন্তঃ শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি
2024-2025 শিক্ষাবর্ষে “একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা-২০২৪” এবং উক্ত নীতিমালার নীতি ৬.০
অনুযায়ী ভর্তির আবেদন, ফল প্রকাশ, ভর্তি ও ক্লাস শুরু সংক্রান্ত সিডিউল প্রকাশ প্রসঙ্গে।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এর আওতাভূক্ত উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ এবং সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা-২০২৪” অনুসরণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, বর্ণিত নীতিমালার নীতি ৬.০ অনুযায়ী ভর্তির আবেদন, ফল প্রকাশ, ভর্তি ও ক্লাস শুরু সংক্রান্ত সিডিউল এ সঙ্গে প্রকাশ করা হলো।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সরকারি কলেজ-১ শাখা বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা থেকে প্রকাশিত একাদশ শ্রেণির ভর্তি নীতিমালা-২০২৪
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা-২০২৪
1.1 ‘বোর্ড’ বলতে সরকার কর্তৃক আইন দ্বারা স্বীকৃত কোন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা
বোর্ড/বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড বুঝাবে;
১.২ কলেজ/সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে দেশের কোন বোর্ড হতে উচ্চমাধ্যমিক/সমমানের স্তরে
পাঠদানের জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত বা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বুঝাবে;
১.৩ ‘নির্ধারিত ফরম' বলতে ভর্তির জন্য নির্ধারিত অনলাইন আবেদন ফরম বুঝাবে;
১.৪ ‘শিক্ষার্থী’/‘প্রার্থী' বলতে ছাত্র ও ছাত্রী উভয়কে বুঝাবে।
১.৫ “দপ্তর সংস্থা” বলতে “তফসিল-ঘ” এ উল্লিখিত দপ্তর/সংস্থাকে বুঝাবে।
ভর্তির যোগ্যতা ও গ্রুপ নির্বাচন:
2.1 পূর্ববর্তী ০৩ (তিন) বছরে দেশের যে কোন শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এস.এস.সি. বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ নীতিমালার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে কোন কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে। এছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণসহ অন্যান্য বছরের শিক্ষার্থীরাও ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে।
বিদেশি কোন বোর্ড বা অনুরূপ কোন প্রতিষ্ঠান হতে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা কর্তৃক তার সনদের মান নির্ধারণের পর উপনীতি (২.১) এর অধীনে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে।
২.৩ ভর্তির আবেদনে একজন প্রার্থী নিম্নরূপ গ্রুপ নির্বাচন করতে পারবে:
2.3.1 বিজ্ঞান গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর যে কোনটি ;
2.3.2 মানবিক গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর যে কোনটি এবং
ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক গ্রুপ এর যে কোনটি;
2.3.8 যে কোন গ্রুপ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ইসলামী শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও সংগীত গ্রুপ এর যে কোনটি।
২.৩.৫ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান গ্রুপে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর যে কোনটি এবং সাধারণ ও মুজাব্বিদ মাহির গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান গ্রুপ ব্যাতীত যে কোনটি।
২.৩.৬ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের যেকোন গ্রুপে ভর্তির আবেদন করতে পারবে।
৩.৫ প্রার্থী নির্বাচনে অনুসরণীয় পদ্ধতি :
৩.১ ভর্তির জন্য কোন বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না। কেবল শিক্ষার্থীর এস.এস.সি. বা সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।
৩.২ কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ৯৩% আসন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১% এবং অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থায় (তফসিল-ঘ অনুযায়ী) কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে ১% সহ মোট ২% কোটা মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য নূন্যতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে সংরক্ষিত থাকবে। যদি আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হয় সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। আবেদনের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকর্মচারী/ কর্তৃক দপ্তর প্রধানের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিজস্ব দপ্তরের প্রধান হলে সেক্ষেত্রে তাঁর একধাপ উপরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারী/যে মহানগর জেলায় কর্মরত থাকবেন তার সন্তান সে /বিভাগ/ জেলায় ভর্তির জন্য বিবেচিত হবেন।/ভাগবি/মহানগরমোট আসনের ৫% মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। উপর্যুক্ত কোটায় যদি প্রার্থী না পাওয়া যায় তবে এ আসন কার্যকরী থাকবে না। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের সনাক্তকরণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে প্রদত্ত সনদপত্র দাখিল করতে হবে। যে সকল শিক্ষার্থী বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে কেবল তারাই সংশ্লিষ্ট বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। প্রবাসীদের সন্তান/বি.কে.এস.পি থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী/খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাগীয় বা জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে বোর্ড উপযুক্ত প্রমাণপত্র যাচাই বাছাই' পূর্বক শিক্ষার্থীকে (প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ এক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে) ভর্তির ব্যবস্থা নিবে।
৩.৩.১ সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্ষেত্রে গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন সালের গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে।
৩.৩.২ বিজ্ঞান গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
৩.৩.৩ উপনীতি ৩.৩.২ এর বিধান সত্ত্বেও যদি প্রার্থী বাছাইকল্পে উদ্ভূত জটিলতা নিরসন না হয়, তবে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়নে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
0.0.8 মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
৩.৩.৫ এক গ্রুপের প্রার্থী অন্য গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে জিপিএ একই হলে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাইকল্পে উদ্ভুত জটিলতা নিরসন না হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
এ নীতিমালায় যা কিছুই থাকুক না কেন স্কুল এন্ড কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে স্ব স্ব গ্রুপে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা ) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব গ্রুপে ভর্তি নিশ্চিত করেই কেবল অবশিষ্ট শূন্য আসনে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নীতি ৩.০ এর উপনীতি (৩.২) ও (৩.৩) অনুসরণ করে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে। তবে এ সকল প্রতিষ্ঠানের সকল ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনে হবে।
কোন কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করতে
পারবে।
৩.৭ কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানকে তাদের ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য ওয়েবসাইট এবং নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করতে হবে। সকল কলেজ/উচ্চমাধ্যমিক/সমমানের প্রতিষ্ঠান স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে মন্ত্রণালয় তথা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা ও সময় অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। কোন প্রতিষ্ঠান মন্ত্রণালয় ও বোর্ড নির্ধারিত তারিখের বাইরে নিজ ইচ্ছামাফিক ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না।
অনলাইনে ভর্তি:
8.5 শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদনের জন্য ওয়েবসাইট এর ঠিকানা : www.xiclassadmission.gov.bd শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে ১৫০/- (একশত পঞ্চাশ) টাকা আবেদন ফি জমা সাপেক্ষে সর্বনিম্ন ৫(পাঁচ)টি এবং সর্বোচ্চ ১০(দশ) টি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে;
বিজ্ঞপ্তি, ভর্তি ও ফি:
উপনীতি ৮.২ অনুসরণপূর্বক কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত আসন সংখ্যা ( বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ, শিফট্, পুরুষ/ মহিলা/সহশিক্ষা, ভার্সন) এবং বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ভর্তি ফিসহ অনুমোদিত অন্যান্য সকল ফি, ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা ইত্যাদি তথ্য ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ড এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে ।
বোর্ডের পূর্বানুমতি ব্যতীত নির্ধারিত আসন সংখ্যার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। বোর্ডসমূহ স্ব স্ব অধিক্ষেত্রে অবস্থিত কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে এই বিধানের ব্যত্যয় রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ
করবে।
অনলাইনে বোর্ড থেকে প্রাপ্ত ভর্তিযোগ্য প্রার্থীদের মেধাক্রম তালিকা কলেজের নোটিশ বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট কলেজ/ সমমানের প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রকাশের ব্যবস্থা করবে;
ভর্তির সময় প্রার্থীকে মূল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট/নম্বরপত্র দাখিল করতে হবে;
৫.৫.১ এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে “তফসিল-ক” অনুযায়ী সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি গ্রহণ করতে হবে। উল্লেখ্য, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমুহ কোনক্রমেই উন্নয়ন ফি গ্রহণ করতে পারবে না। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি সময়ে সময়ে পরিবর্তন করতে পারবেন।
৫.৫.২ নন এমপিও/আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ফি, সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি “তফসিল-খ” অনুযায়ী গ্রহণ করতে হবে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে উন্নয়ন ফি, সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি সময়ে সময়ে পরিবর্তন করতে পারবেন।
৫.৫.৩ সরকারি কলেজসমূহ সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ফি সংগ্রহ করবে।
৫.৫.৪ দরিদ্র, মেধাবী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ উল্লিখিত ফি যতদূর সম্ভব মওকুফের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ভর্তি প্রক্রিয়ার পূর্বেই বেসরকারি কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি ফিসহ মাসিক বেতন এবং অন্যান্য যাবতীয় খরচ এর লিস্ট স্ব স্ব কলেজের নোটিশ বোর্ডে এবং ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করতে হবে;
কোন শিক্ষার্থীর নিকট হতে অনুমোদিত ফি-এর অতিরিক্ত কোন অর্থ গ্রহণ করা যাবে না এবং অনুমোদিত সকল ফি যথাযথ রশিদ প্রদানের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে।
শিক্ষা বোর্ড শিক্ষার্থীর নিকট হতে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়ন করার সময় শিক্ষার্থী প্রতি “তফসিল-গ” অনুযায়ী ফি গ্রহণ করবে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে এই ফি সময়ে সময়ে পরিবর্তন করতে পারবেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতি শিক্ষার্থীর নিকট থেকে রেড ক্রিসেন্ট ফি বাবদ (৪০/- টাকার ৬০%) ২৪/- টাকা গ্ৰহণ করবে;
প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বার্ষিক ক্রীড়া মঞ্জুরি ফি বাবদ ৩০০/- (তিনশত) টাকা বোর্ডে প্রেরণ করতে হবে;
ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর বোর্ডের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা বোর্ডের অনুমতি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ফি প্রদান করে কলেজ, গ্রুপ ও বিষয় পরিবর্তন করতে পারবে। তবে অন্যান্য গ্রুপ থেকে বিজ্ঞান গ্রুপে গ্রুপ পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।
কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোন অবস্থাতেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হতে এস.এস.সি. বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কোন শিক্ষার্থীর মূল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট উক্ত শিক্ষার্থী বা তার অভিভাবক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তর করতে পারবে না বা অন্য কোন অজুহাতে কোন শিক্ষার্থীর একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট আটক রাখতে পারবে না।
ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের তালিকা জমাদানের সময় প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত উল্লিখিত ফি এর বিবরণীর সাথে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক খাতওয়ারি গৃহীত অন্যান্য ফি'র বিবরণী আলাদাভাবে জমা দিতে হবে।
ভর্তির আবেদন, ফল প্রকাশ, ভর্তি ও ক্লাস শুর:
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ/বোর্ড প্রতিবছর নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগ বরাবর ভর্তির আবেদন, ফল প্রকাশ, ভর্তি ও ক্লাস শুরু সংক্রান্ত সিডিউলের বিষয়ে প্রস্তাব প্রেরণ পূর্বক অনুমোদন গ্রহণ করবেন এবং তা প্রতিবছর বিজ্ঞপ্তি আকারে জারি করবেন।
কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন:
সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের পূর্বানুমতি ছাড়া একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত কোন ছাত্র/ছাত্রীর ছাড়পত্র ইস্যু করা যাবে না। কিংবা বোর্ডের পূর্বানুমতি ব্যতীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত ছাড়পত্রের বরাতে ভর্তি করা যাবে না। ছাড়পত্রের (টিসি) মাধ্যমে ভর্তির ক্ষেত্রে কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের ভর্তিকৃত ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফিসহ প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে জমা দিতে হবে।
অনুমতি বা স্বীকৃতিবিহীন কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিষিদ্ধ :
স্থাপনের অনুমতি আছে কিন্তু পাঠদানের প্রাথমিক অনুমতি নেই এরূপ কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান কোন অবস্থাতেই ছাত্র/ছাত্রী ভর্তি করতে পারবে না।
পাঠদানের প্রাথমিক অনুমতিপ্রাপ্ত অথবা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোন কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে অননুমোদিত ক্যাম্পাস এবং অননুমোদিত কোন বিষয়ে ছাত্র/ছাত্রী ভর্তি করা যাবে না।
নীতিমালার প্রবর্তন ও প্রয়োগ:
দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির ক্ষেত্রে এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে;
শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে এই নীতিমালার কোনরূপ ব্যত্যয় ঘটানো হলে বেসরকারি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পাঠদানের অনুমতি বা স্বীকৃতি বাতিলসহ কলেজটির এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে এবং সরকারি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
“একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা-২০২৪” এর নীতি ৬.০ অনুযায়ী ভর্তির আবেদন, ফল প্রকাশ, ভর্তি ও ক্লাস শুরু সংক্রান্ত সিডিউল:
ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ (যারা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করবে, আবেদনের যোগ্য হলে তাদেরও এই সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে) ** অনলাইনে আবেদনগুলো শিক্ষার্থীর পছন্দক্রম অনুযায়ী অটো মাইগ্রেশন প্রযোজ্য। 26/05/2024 (রবিবার) থেকে 11/06/2024 (মঙ্গলবার)
আবেদন যাচাই, বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি: 12/06/2024 (বুধবার) থেকে 13/06/2024 (বৃহস্পতিবার)
শুধুমাত্র পুনঃনিরীক্ষণে ফলাফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ: 12/06/2024 (বুধবার) থেকে 13/06/2024 (বৃহস্পতিবার)
পছন্দক্রম পরিবর্তনের সময় তারিখ: 12/06/2024 (বুধবার) থেকে 13/06/2024 (বৃহস্পতিবার)
14/06/2024 তারিখ থেকে 18/06/2024 তারিখ পর্যন্ত ঈদুল-আজহা উপলক্ষ্যে অনলাইন সার্ভিস ও কল সেন্টার বন্ধ থাকবে।
১ম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ: 23/06/2024 (রবিবার রাত ৮:০০ টায়)
শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চায়ন (শিক্ষার্থী নিশ্চায়ন না করলে ১ম পর্যায়ের নির্বাচন এবং আবেদন বাতিল হবে এবং তাকে পুনরায় ফিসহ আবেদন করতে হবে) : ফল প্রকাশের পর থেকে 29/06/2024 (শনিবার) (রাত ৮:০০ টা পর্যন্ত)
২য় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ: 30/06/2024 (রবিবার) থেকে 02/07/2024 (মঙ্গলবার রাত ৮:০০ পর্যন্ত)
পছন্দক্রম অনুযায়ী ১ম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ: 04/09/2024 (বৃহস্পতিবার রাত ৮:০০ টায়)
২য় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ: 04/07/2024 (বৃহস্পতিবার রাত ৮:০০ টায়)
২য় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চায়ন (শিক্ষার্থী নিশ্চায়ন না করলে ২য় পর্যায়ের নির্বাচন এবং আবেদন বাতিল হবে এবং তাকে পুনরায় ফিসহ আবেদন করতে হবে): 05/07/2024 (শুক্রবার) থেকে 08/07/2024 (সোমবার রাত ৮:০০ পর্যন্ত)
৩য় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ: 09/07/2024 (মঙ্গলবার) থেকে 10/07/2024 (বুধবার)
পছন্দক্রম অনুযায়ী ২য় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ: 12/07/2024 (শুক্রবার রাত ৮:০০ টায়)
৩য় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ: 12/07/2024 (শুক্রবার রাত ৮:০০ টায়)
৩য় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চায়ন (শিক্ষার্থী নিশ্চায়ন না করলে ৩য় পর্যায়ের নির্বাচন এবং আবেদন বাতিল হবে): 13/07/2024 (শনিবার) থেকে 14/07/2024 (রবিবার)
ভর্তি: 15/07/2024 (সোমবার) থেকে 25/07/2024 (বৃহস্পতিবার)
ক্লাস শুরু: ৩০ জুলাই, ২০২৪ (মঙ্গলবার)
**** উল্লেখ্য অনলাইন ব্যতীত ম্যানুয়ালি কোন ভর্তি কার্যক্রম করা হবে না ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.