আখাউড়া স্থলবন্দরে লংমার্চ সমাবেশে যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না: “বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে আপোষহীন”



আখাউড়া স্থলবন্দরে লংমার্চ সমাবেশে যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না: “বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে আপোষহীন”  


তিতাস ট্রিবিউন রিপোর্ট:

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোনায়েম মুন্না বলেছেন, "বাংলাদেশের বহিরাগত কোনো প্রভু নেই। আমরা স্বাধীন এবং সার্বভৌম। প্রতিবেশি রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের সম্মান করতে হবে।" তিনি বলেন, "ভারতের দায়িত্ব ছিল বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। এই অবহেলা ও কার্যকলাপের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।"  


বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে লংমার্চ শেষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  


মোনায়েম মুন্না আরও বলেন, "বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব সময় প্রস্তুত। এ বিষয়ে আমরা আপোষহীন। আমাদের কাছে দেশ সর্বপ্রথম। আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ স্বাধীনতা অর্জন করেছি এবং তা রক্ষা করব যেকোনো মূল্যে।"  


তিনি আরও দাবি করেন, "শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ভারত সরকারকে বলছি, শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের ফিরিয়ে দিন।"  


সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস.এম জিলানী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।  


ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলামও বক্তব্য দেন।  


কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, "এই দেশে আওয়ামী লীগের কোনো অস্তিত্ব নেই। জনগণ ভারতের আগ্রাসী মনোভাব মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ। যদি আবারও আমাদের পতাকা অবমাননা করা হয়, আমরা তার কঠোর জবাব দেব।"  


যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, "ভারতে বাংলাদেশের পতাকা পুড়িয়ে আমাদের অপমান করা হয়েছে। এ সময়ে পুলিশ ছিল নীরব। তারা প্রতিবেশি হলেও বন্ধু হতে পারেনি। তিস্তার পানি না দিলেও ফেনী নদীর পানি নিয়ে যায়। আমাদের স্বাধীনতার পর থেকে তারা শুধু শোষণ করে আসছে। আমরা ইলিশ আর জামদানি পাঠাই, আর তারা ফালানির লাশ ও ফেনসিডিল পাঠায়।"  


লংমার্চের পটভূমি:

সকাল ৯টায় ঢাকার নয়াপল্টন থেকে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের লংমার্চ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে শেষ হয়। ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা অবমাননা, এবং ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।  

Post a Comment

Please do not enter any spam link in the comment box.

নবীনতর পূর্বতন