ঢাকা-আগরতলা রুটে চলাচলকারী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুহিলপুর এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হয়। ওভারটেকের চেষ্টায় ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক সামান্য আহত হন, তবে বাসের ২৬ জন যাত্রী অক্ষত ছিলেন।
দুর্ঘটনার বিবরণ
শনিবার সকাল ১১টার দিকে বাসটি আগরতলা থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। দুপুর ১২টার দিকে সুহিলপুর এলাকায় একটি ট্রাককে ওভারটেক করার সময় বাসটি ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে সড়কের একপাশে সরে যায়। এতে পেছনে থাকা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বাসে ধাক্কা দেয় এবং অটোরিকশাটি বাসে আটকে যায়।
অটোরিকশাচালক সামান্য আহত হলেও বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। পরে একটি রেকার এসে অটোরিকশাটিকে সরানোর পর বাসটি প্রায় দেড় ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
পুলিশের বক্তব্য
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মো. মারগুব তৌহিদ জানান, ঘটনাটি গুরুতর কিছু ছিল না। দুই চালকের মধ্যে সমঝোতা হওয়ার পর উভয়েই গন্তব্যে চলে যান। দুর্ঘটনায় বাস কিংবা যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি।
ত্রিপুরার মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া
ত্রিপুরার পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ঘটনাটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। শনিবার বিকেলে তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি ভারতীয় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। তবে তিনি পোস্টে উল্লেখ করেননি যে বাসটি শ্যামলী পরিবহন, যা বাংলাদেশে পরিচালিত হয়।
বাসের চালক মো. আসাদুল হক বলেন, ‘ওভারটেকের কারণে ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে বাস থামানোর চেষ্টা করি। এতে পেছনের অটোরিকশাটি ধাক্কা দেয়। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি এবং পুলিশকে বিষয়টি জানাই। তারা কাগজপত্র দেখে সব ঠিক আছে বলে নিশ্চিত করে।’
বাসটি দুর্ঘটনার পর দ্রুত পরিস্থিতি সামলে সন্ধ্যায় নিরাপদে ঢাকায় পৌঁছায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.