বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা অনেক নিরাপদ: মাহমুদুর রহমান

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা অনেক নিরাপদ: মাহমুদুর রহমান



ব্রাহ্মণবাড়িয়া: বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অনেক নিরাপদ এবং সম্মানিত অবস্থানে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ একটি কঠিন সময় অতিক্রম করছে। কারণ, হিন্দুত্ববাদী ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি এবং নানা ষড়যন্ত্র করছে।”  


সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে শহীদ বাবরি মসজিদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিবাদী কনফারেন্সে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  


মাহমুদুর রহমান বলেন, “ভারত ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র জোরদার করেছে। তারা সংখ্যালঘু ইস্যু ব্যবহার করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। অথচ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা সব সময়ই নিরাপদে রয়েছে। এ দেশের মুসলমানরা সব সময় তাদের পাশে থেকেছে। অন্যদিকে, ভারতে মুসলিমদের প্রতি নির্যাতন এবং মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা অহরহ ঘটছে। ভারতের সাধুরা মুসলিমদের হত্যার দাবি করে, যা বাংলাদেশের উদার সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পূর্ণ বিপরীত।”  


তিনি আরও বলেন, “ভারতীয় হেজেমনিকে পরাজিত করে বাংলাদেশের জনগণ প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এ দেশের তৌহিদি জনতা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ এবং ভারতের আধিপত্যবাদকে চিরতরে পরাজিত করেছে। তারা জানে কীভাবে নিজেদের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হয়।”  


মাহমুদুর রহমান সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দুরা এ দেশের নাগরিক এবং তাদের নিরাপত্তা দেওয়া মুসলমানদের দায়িত্ব। তবে ভারতকে তাদের মুসলিম নাগরিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন হতে হবে।”  


তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় বিষয়ে মতভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু দেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিভেদ থাকলে ষড়যন্ত্র সফল হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।”  


যুব ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রতিবাদী কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব সাজিদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মুফতি মুবারকুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য আতাউল্লাহ ইসলাম।

Post a Comment

Please do not enter any spam link in the comment box.

নবীনতর পূর্বতন